রাজশাহীতে তাপদাহের প্রভাব ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত


রাজশাহীতে চলমান মাঝারি তাপদাহের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড রোদ ও গরমে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ এবং দিনমজুরদের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে উঠেছে। তাপদাহের কারণে তারা কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
এ বছর একাধিকবার তাপপ্রবাহের কবলে পড়েছে দেশ। গরমের প্রভাব বিস্তৃত হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। বর্তমানে রাজধানী ঢাকাসহ ১৫টি জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা আরও বিস্তৃত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার ১৩টি জেলায় শুরু হওয়া তাপপ্রবাহ শুক্রবার আরও দুই জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাজশাহীতে ৩৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, এসব এলাকায় মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোর ও রাজশাহীতে ৩৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ঢাকায় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
রাজশাহী অফিসের আবহাওয়াবিদ আনোয়ার খাতুন জানান, শনিবার সকালে রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং দুপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি জানান, সারাদিনে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
ঈদ উপলক্ষে ঢাকা থেকে আসা রাজমিস্ত্রী মিলন বলেন, “আমরা ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাড়ী যাচ্ছি। রাস্তায় খুব গরম। ঢাকাতেও তাপমাত্রা অনেক বেড়ে গেছে। এতে আমাদের মতো শ্রমিকরা কষ্টে পড়েছে।”
রাজশাহী মহানগরির রিকশাচালক আব্দুস সালাম জানান, “গত ৪-৫ দিন ধরে প্রচণ্ড রোদ ও গরম পড়ছে। এতে আমাদের কষ্ট হচ্ছে। ভাড়াও কম পাচ্ছি। রোদ ও গরমের কারণে বেশিক্ষণ রিকশা চালানো সম্ভব হচ্ছে না।”
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, তাপপ্রবাহ চলমান থাকবে এবং রোববার কিছুটা কমতে পারে, তবে এটি একেবারে শেষ হবে না। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে, রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শনিবারের আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঢাকা, ফরিদপুর, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, ফেনী এবং খুলনা বিভাগের আট জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে এবং আরও বিস্তার লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।