রাজশাহীর বাঘায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু সম্পর্কে যা জানা গেল


রাজশাহীর বাঘায় চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৬০ বছর বয়সী মীর রুহুল আমিন। তার মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ করেছে তার পরিবার।
পরিবারের দাবি, মীর রুহুল আমিন মানসিক প্রতিবন্ধী এবং জেদি প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কোমরের ব্যথায় ভুগছিলেন এবং পরিবারের ধারণা, অসুস্থতার কারণে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
জানা গেছে, সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী রেলস্টেশনে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন তিনি। রুহুল আমিন বাউসা ইউনিয়নের মাঝপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনরা বিভিন্ন মন্তব্য করছেন, যার মধ্যে অনেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন।
রুহুল আমিনের ছেলে মীর মশিউর রহমান বলেন, “বাবা মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন এবং তিনি কারো কথা শোনেন না। ঘটনার দিন তিনি বাজারে গিয়েছিলেন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে।” তিনি আরও জানান, বাবার মৃত্যু নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে, যা পরিবারের সম্মান নষ্ট করছে।
স্থানীয় স্কুল শিক্ষক এনামুল হক বলেন, “রুহুল আমিন একজন সহজ সরল মানুষ ছিলেন। তার মৃত্যু নিয়ে মিথ্যা কথা রটানো ঠিক নয়।”
বাউসা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফ আলী মলিন বলেন, “রুহুল আমিন সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান ছিলেন এবং তার সন্তানরা নিয়মিত তাদের বাবা-মাকে দেখেন।”
ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান জানান, রুহুল আমিন কিছু ঋণ নিয়ে পেঁয়াজের আবাদ করেছিলেন, কিন্তু ফলন আশানুরূপ হয়নি। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।