f
রাজশাহী

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে প্রথমবার ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার কৃষ্ণপুরে ১৯টি পরিবার এই প্রথমবার সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করেছে।

রোববার (৩০ মার্চ) সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে কৃষ্ণপুর মুসলিম জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজের ইমামতি করেন স্থানীয় ইমাম রহিম গাজী। ঈদের নামাজে মোট ১৯ জন মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে ১৬ জন পুরুষ এবং ৩ জন মহিলা।

নামাজ শেষে একাধিক মুসল্লি জানান, এই বছর তারা প্রথমবার সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। পূর্বে তারা দেশের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতেন, তবে এবারের অভিজ্ঞতা তাদের জন্য ছিল বেশ ইতিবাচক। একজন মুসল্লি বলেন, “নামাজ আদায়ের পর আগের মতোই ভালো লাগলো।”

ইমাম রহিম গাজী বলেন, “মানুষ মনে করে সৌদি আরবে ঈদ হলে আমাদের এখানেও ঈদ করতে হবে। আসলে ব্যাপারটা তেমন নয়। চাঁদ শুধু বাংলাদেশ বা সৌদি আরবের জন্য ওঠে না; এটি সারা পৃথিবীর জন্য ওঠে। যেদিন চাঁদ দেখা যায়, সেদিন থেকেই রমজান মাস শুরু হয়। পৃথিবীর আকার বড় হওয়ার কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে চাঁদ দেখা না যাওয়া আমাদের ব্যর্থতা।”

তিনি আরও বলেন, “সৌদি আরবকে পৃথিবীর মূল কেন্দ্র ধরে ঈদ পালন করা হয়, এমনটা বলা হয়ে থাকে। আমরা গত ৮-১০ বছর ধরে সৌদির সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছি। আগে মুসল্লি সংখ্যা কম থাকায় বাড়িতে নামাজ আদায় করতাম, তবে বর্তমানে সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত দুই-তিন বছর ধরে কৃষ্ণপুর মুসলিম মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করা হচ্ছে।”

এবারের ঈদ উদযাপনে স্থানীয় মুসল্লিদের মধ্যে ছিল আনন্দ ও উৎসাহের পরিবেশ। সৌদির সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করা নিয়ে তাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে।

Back to top button