বিডিডিএসওএ’র কেন্দ্রীয় সদস্য হলেন রাজশাহীর শাওন ও রিটন


বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশন এর নবগঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন রাজশাহীর বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও ব্যবসায়ী হাসিবুল আলম শাওন ও যুবনেতা মো: মাহফুজুর রহমান লিটন। গত ২৭ জুন কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় ৬৮ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
এর আগে রাজশাহী বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার ১১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বান কমিটির অন্যতম সদস্য নির্বাচিত হন হাসিবুল আলম শাওন। পদাধীকার বলে এই কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে বিভাগীয় কমিশনার এবং সদস্য সচিব করা হয়েছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের রাজশাহীর উপ-পরিচালককে।
এদিকে রাজশাহী বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা ও বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত করায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ক্রীড়া সংগঠক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাসিবুল আলম শাওন।
এ সময় তিনি বলেন, ৬৮ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাজশাহীর দুই ক্রিড়া সংগঠককে স্থান দেওয়া হয়েছে। এতে করে রাজশাহী অঞ্চলের খেলাধুলার মান উন্নয়নে কার্যকর ও যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিতে সুবিধা হবে। তিনি বলেন, নতুন নতুন খেলোয়ার তৈরি, যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ এবং আন্তর্জাতিক মানে উন্নতির লক্ষ্যে রাজশাহীর সকল ক্রীড়া সংগঠনকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই। তিনি আরো বলেন, সমন্বিত পরিকল্পনা করে, খেলাধুলার গুরুত্ব সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য খেলোয়াড় প্রস্তুতসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে এই কমিটি। এমন একটি কার্যকর, যুগোপযোগী কমিটিতে জায়গা করে দেয়ার জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের প্রতি ধন্যবাদ অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ক্রীড়া সংগঠক হাসিবুল আলম শাওন ।
এছাড়াও সংগঠনের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কমিটির অন্যতম সদস্য মো: মাহফুজুর রহমান রিটন। তিনি বলেন বিগত সময়ে খেলাধুলায় পিছিয়ে পড়েছিল রাজশাহী। বর্তমান কমিটি পিছিয়ে পড়া ক্রীড়া প্রেমীদের নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্থানকরে নিবে রাজশাহীর খেলোয়াড়রা। তিনি বলেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির উর্ধ্বে উঠে আমাদের সততার সহিত কাজ করতে হবে। বিভিন্ন অঞ্চলের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের খুঁজে বের করে উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলাই আমাদের দায়িত্ব। ভালো খেলোয়ারদের মূল্যায়ন করতে পারলে দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের জন্য সুনাম অর্জন করা সম্ভব হবে। অভিভাবকদের প্রতি তিনি বলেন, সন্তানদেরকে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলায় মনোযোগী করতে হবে। এতে করে তারা অনৈতিক ও অন্যায় কাজ করা থেকে বিরত থাকবে।