নাটোরসারাদেশ

কাঁচাগোল্লা তো পেলাম না, নাটোরের নেতাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী

নগর খবর ডেস্ক : পাঁচ জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, নাটোর, পাবনা ও খাগড়াছড়ি জেলার নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেন।

বক্তব্য শেষে পাঁচ জেলার নেতাদের আলাদা আলাদাভাবে কথা শোনেন প্রধানমন্ত্রী। নাটোর জেলার নাম ঘোষণা হলে নাটোরের সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ সবাই চেয়ার থেকে ওঠে দাঁড়ান।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী সবার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সবাই বসো। কাঁচাগোল্লা তো পেলাম না।’ প্রধানমন্ত্রী কথা শেষ করতেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, কাঁচাগোল্লা আমরা দেব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ৭ তারিখে।

পলক বলেন, ৭ তারিখে নাটোরের ৪টি আসনে আমাদের যাদেরকে মনোনয়ন দিয়েছেন নাটোর-১ থেকে শহিদুল ইসলাম বকুল, নাটোর-২ শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-৩ থেকে আমি জুনাইদ আহমেদ পলক এবং নাটোর-৪ থেকে সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীকে বিজয়ী করতে আমরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছি।

পলক বলেন, নাটোরে আসার জন্য বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে বাংলাদেশের প্রথম সার্ভিস লেনসহ স্মার্ট রাস্তা দিয়েছিলেন। লালপুর-বাগাতিপাড়ায় বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি দিয়েছেন। নাটোরবাসীর প্রাণের দাবি ড. ওয়াজেদ মিয়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছি। সিংড়াবাসী আপনার দেওয়া হাইটেক পার্ক, শেখ রাসেল ইনকিউবেশন সেন্টার পেয়েছে। আপনার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য আগামী ৭ তারিখ নৌকার পক্ষে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে স্মার্ট নাটোর গড়ে তুলবো এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য আপনাকে সুযোগ করে দেব।

প্রতিমন্ত্রীর পর বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, এই সভার মাধ্যমে নাটোরবাসীর কাছে মেসেজ চলে গেল যে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাদের চারজন মনোনীত প্রার্থীকে জয়যুক্ত করতে হবে।

তার বক্তব্য শেষ হলে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নাটোরের আলাদা গুরুত্ব আছে। আমরা চাই যে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনারা জয়যুক্ত করবেন। কিন্তু নিজেদের ভেতর কোনো সংঘাত আমি দেখতে চাই না, কেননা আমরাই উন্মুক্ত করে দিয়েছি সিট। সবাই ইলেকশন করবে। জনগণ আসবে, জনগণ ভোট দেবে। যাকে তাদের পছন্দ তাকে ভোট দেবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনটাকে আমরা এমনভাবে করতে চাই যেন জনমানুষের সম্পৃক্ততা বাড়ে, ভোটার যেন এসে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে।

শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি যেসকল জেলায় ভিডিও কনফারেন্স করলাম। আগামীতে প্রত্যেক জেলায় সরাসরি সফর করব।

Back to top button