রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই প্রতিনিধি ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ থেকে পদত্যাগ করলেন


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই প্রতিনিধি, মেহেদী সজীব ও সালাহউদ্দিন আম্মার, সদ্য প্রতিষ্ঠিত ছাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে ক্যাম্পাসের পরিবহন মার্কেটে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
মেহেদী সজীব, যিনি সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক, এবং সালাহউদ্দিন আম্মার, যুগ্ম সদস্যসচিব, উভয়েই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হিসেবে পরিচিত। সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, “বর্তমানে বিভাজন ও আধিপত্য বিস্তারের রাজনীতি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। জনগণের আকাঙ্ক্ষা এবং জুলাই বিপ্লবের লক্ষ্য বৈষম্যহীন বাংলাদেশ এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।”
তারা আরও উল্লেখ করেন, “বিভাজনকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করলে বৈষম্যহীন দেশ গঠন সম্ভব নয়।” সালাহউদ্দিন বলেন, “জুলাই বিপ্লবের মূল উদ্দেশ্য ছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন; কিন্তু যদি বৈষম্য নতুন আঙ্গিকে ফিরে আসে, তবে তা দুঃখজনক হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে তারা নতুনদের সংগঠনের দায়িত্ব না নেওয়ার পরামর্শ দেন এবং বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেটের বাইরে গিয়ে কোনও দল বা গোষ্ঠীতে নিজেদের একীভূত করা যুক্তিযুক্ত নয়। তাই আমরা পদত্যাগ করলাম।”
এদিকে, ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির যৌথ উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ করে। সংগঠনের আহ্বায়ক হিসেবে আবু বাকের মজুমদার এবং সদস্যসচিব হিসেবে জাহিদ আহসানকে মনোনীত করা হয়। তবে, কমিটি ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেহেদী সজীব ও সালাহউদ্দিন আম্মারের পদত্যাগ সংগঠনের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, “ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দলটি সর্বজনীন হতে পারত, কিন্তু বর্তমান অবস্থানের কারণে শিক্ষার্থীরা সংগঠনের প্রতি বিশ্বাস রাখতে পারছে না।” মেহেদী সজীব বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক নতুন ফ্যাসিবাদী মনোভাবের উত্থানের প্রতিবাদে আমরা এই প্লাটফর্মে থাকতে রাজি নই।”