দেখা নেই সূর্যের, শীতে কাবু কুড়িগ্রামের মানুষ


নগর খবর ডেস্ক : কুড়িগ্রামে সকাল গড়িয়ে বিকেল হলেও দেখা মেলেনি সূর্যের। যার ফলে কনকনে ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে এখানকার দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। এই ঠান্ডাকে উপেক্ষা করেই মাঠে কাজ করতে দেখা গেছে অনেককে।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুয়াশা কম থাকলেও হিমেল হাওয়ার বাড়িয়ে দেয় ঠান্ডার মাত্রা। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এ অবস্থায় শ্রমজীবি ও নিম্ন আয়ের মানুষজন প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে সময় মতো কাজে বের হতে পারছে না।
উলিপুর উপজেলা দলদলিয়া ইউনিয়নের চাপড়ার পাড় এলাকার বৃদ্ধ লোকমান মিয়া (৭৫) বলেন, ‘খুব ঠান্ডা আজ। হাত পা বরফ হয়ে গেইছে। হামারমতো বুড়া মানুষগুলার খুব সমস্যা হইছে। আর সারাদিন রোদ উঠে নাই। ঠান্ডার কারণে পা ব্যাথা করছে।’
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল বাতেন সরকার বলেন, কিছুদিন আগে মাদরাসার ছাত্রদের জন্য ২০০ কম্বল পেয়েছি তা বিতরণ করা হয়েছে। আর কোনো শীতবস্ত্র পাইনি।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, এইরকম তাপমাত্রা আরও কয়েকদিন থাকবে। তবে এ মাসে আরও একটি শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহিনুর রহমান সর্দার জানান, বর্তমানে হাসপাতালে ৩৮৭ জন রোগী ভর্তি আছে। এর মধ্যে শিশু রয়েছে ৬০ জন। তবে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা এখনো বৃদ্ধি পায়নি।