f
বগুড়াসারাদেশ

নিখোঁজ দুই বিএনপি নেতা ফিরলেও থাকছেন না বাড়িতে

নগর খবর ডেস্ক : আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার দুই সপ্তাহ পর বগুড়ায় দুই বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন ও আনোয়ার হোসেনের সন্ধান মিলেছে। তবে নিরাপত্তার কারণে লোকসমাগমে আসছেন না তারা।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোর পাঁচটার দিকে আনোয়ার হোসেন নিজ বাড়িতে ফেরেন। আর দেলোয়ার হোসেন গতকাল রাতে তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আবার গা ঢাকা দিয়েছেন।

এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে সেখান থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আনোয়ারকে তুলে নেওয়া হয়। পরে দুপচাঁচিয়া সদরে এসে ফোন করে দেলোয়ারকে তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ ছিল তাদের স্বজনদের।

উপজেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন কাহালুর বীরকেদার ইউনিয়নের ভোলতা দক্ষিণপাড়া এলাকার মৃত আজিজার রহমানের ছেলে ও সাবেক ইউপি সদস্য। এ ছাড়া আনোয়ার আরডিএর একটি প্রকল্পের ফিল্ড অফিসারের দায়িত্বে আছেন। আর দেলোয়ার হোসেন উপজেলা বিএনপির ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক

আনোয়ারের ভাতিজা নুরনবী বলেন, আমার চাচা ভোর পাঁচটার দিকে নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। তিনি সুস্থ আছেন। তবে তিনি কোথায় ছিলেন, কী হয়েছিল এসব ব্যাপারে কাউকে কিছু বলছেন না।

আনোয়ারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে নুরনবী জানান, তিনি এখন নাই, ঘুমাচ্ছেন। কথা বলা সম্ভব না।

দেলোয়ারের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বুধবার রাত নয়টার দিকে বাবা আমার মায়ের মোবাইলে কল দিয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, চিন্তার কিছু নেই। পরে বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় এসে শুধু মায়ের সঙ্গে দেখা করে কাপড়চোপড় নিয়ে যান। বাবা এখনো বাসায় আসছেন না। বুঝেন তো বাসায় থাকা সমস্যা এখন।

বগুড়া কাহালু থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজা নিখোঁজ দুই বিএনপি নেতার সন্ধানের খবর নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘নিখোঁজ দুই ব্যক্তির মধ্যে আনোয়ার তার বাড়িতে ফিরেছেন বলে অবগত হয়েছি। তবে দেলোয়ারের ব্যাপারে এখনও কিছু জানি না।’

গত ২০ ডিসেম্বর বগুড়া প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী আঁখি বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে দুই পরিবার দাবি করে, ১৪ ডিসেম্বর বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে সেখান থেকে ডিবি পরিচয়ে আনোয়ারসহ কয়েকজনকে তুলে নেওয়া হয়। পরে তাদেরকে দুপচাঁচিয়া সদরে নিয়ে এসে ফোনে দেলোয়ারকে তুলে নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল দুই নেতার সন্ধান চেয়ে রিট আবেদন দাখিল করেন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. মাকসুদ উল্লাহ। পরদিন বুধবার নিখোঁজ ওই দুই নেতা কোথায় কী অবস্থায় আছে, তা জানাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের কেন হাইকোর্টে সশরীরে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করেন আদালত। এ ছাড়া পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) আগামী ৪ জানুয়ারির মধ্যে বা তার আগে দুজনের অবস্থান জানিয়ে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিতে বলা হয়।

Back to top button