নগর খবর ডেস্ক : বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে তার প্রত্যাহার দাবি করেছেন তিনজন সংসদ সদস্য প্রার্থী। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুল আলমের পক্ষ হয়ে নির্বাচনের মাঠে দায়িত্ব পালনের অভিযোগ আনেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় বরিশাল নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানান তরমুজ প্রতীকের ক্যাপ্টেন (অব.) মো. কামরুল ইসলাম খান, ঈগল প্রতীকের শাহবাজ মিঞা শোভন ও রকেট প্রতীকের প্রার্থী জাকির খান সাগর। তারা তিনজনই স্বতন্ত্র প্রার্থী।
সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, গত ৭ ডিসেম্বর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের আদেশে জেলার গৌরনদী থানা থেকে বাকেরগঞ্জ থানায় ১০ ডিসেম্বর যোগ দেন। যদিও আফজাল হোসেন এর আগে বাকেরগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার পদে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। ওই সময়ে বাকেরগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। নির্বাচনকালীন বদলি হয়ে আসার পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুল আলমের হয়ে কাজ করছেন। যে কারণে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের মারধর করা হলেও ওসি আফজাল হোসেন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
৩০ ডিসেম্বর ০৮ নং নলুয়া ইউনিয়নের আফালকাঠী বাজারে নৌকা সমর্থিত মিছিলে স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুল আলমের ট্রাক প্রতীকের লোকজন ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর মৃধাকে গুরুতর আহত করে। ১ জানুয়ারি থানায় অভিযোগ করলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার করেননি ওসি। এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর ১ নং চরামদ্দি ইউনিয়নের ০৮ নং কালিদাসিয়া ওয়ার্ডের নৌকা প্রতীকের অফিসে ট্রাক প্রতীকের লোকজন আগুন দিলেও ওসি কোনো ব্যবস্থা নেননি। এছাড়া ট্রাক প্রতীকের লোকজন নৌকা, ঈগল, রকেট ও তরমুজ প্রতীকের লোকদের হুমকি, হয়রানি করলেও ওসি প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। তার কর্মকাণ্ড স্পষ্টতই একজন প্রার্থীর পক্ষে। এজন্য তাকে প্রত্যাহার করা না হলে বাকেরগঞ্জে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করছেন এ তিন প্রার্থী।
সংবাদ সম্মেলন থেকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয় ওসিকে প্রত্যাহারের জন্য। সংবাদ সম্মেলন শেষে ওসির বিরুদ্ধের লিখিত অভিযোগ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পৌঁছে দেন তিন প্রার্থী।
অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম।