তিন পোড়া মোটর সাইকেল নিয়ে ঈগল-নৌকার টানাটানি
নগর খবর ডেস্ক : জামালপুর সদর উপজেলায় তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এই আসনের (জামালপুর-৫) স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা কেন্দ্র ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তবে আগুনে পুড়ে যাওয়া তিন মোটরসাইকেল নিয়ে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী দুইজনই তাদের নিজেদের সমর্থকদের বলে দাবি করেছেন।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নের নান্দিনা পূর্ববাজার ও খড়খড়িয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণার জেলা সমন্বয়কারীর অভিযোগ, নৌকার ১০/১২ জন কর্মী মোটরসাইকেলে করে নৌকা প্রতীকের প্রচার কেন্দ্রে যায়। তারা সেখানে স্লোগান দিয়ে নৌকায় ভোট প্রার্থনা করছিলেন। এ সময় ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রেজাউল করিম রেজনুর কর্মী-সমর্থকরা নৌকা প্রতীকের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আগুন দিয়ে তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে। এ সময় নৌকা প্রতীকের পাঁচজন সমর্থক আহত হয়েছেন।
এদিকে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ, ঈগল প্রতীকের দুইটি নির্বাচনী প্রচারণা কেন্দ্রে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে নৌকার সমর্থকরা ভাঙচুর ও হামলা চালায় এবং তিনটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নের খড়খড়িয়া এলাকায় তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণা কেন্দ্রে ভাঙচুর চালানো হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে ঈগলের সমর্থকরা প্রায় দুই ঘণ্টা জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরকত উল্লাহর উপস্থিতিতে শান্ত করতে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেওয়ার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা লাঠিচার্জ শুরু করে। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জের শিকার হন কয়েকজন সংবাদকর্মীও।
এ ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনু বলেন, নৌকার সমর্থকরা নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করেছে, তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে। অসংখ্য ভোটারদের সশস্ত্র অবস্থায় আক্রমণ করা হয়েছে। এসিল্যান্ডসহ আমি যখন অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য বক্তব্য দেব তখন হঠাৎ বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিয়ে পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা জনগণের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনী প্রচারণার জেলা সমন্বয়কারী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক লুৎফুর কবীর বাবুর নেতৃত্বে আমাদের নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হামলায় আমাদের শ্যামল, সীমান্ত, সিফাত, পুলক ও আলী নামের পাঁচজন কর্মী আহত হয়েছে। আহতরা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে জামালপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, তিনটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও একটি নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্র ভাঙচুরের ঘটনা শুনে পরিদর্শন করেছি। মোটরসাইকেল তিনটি কার আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।