আশরাফুল অন্তর: সম্প্রতি ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পর বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম হটাৎ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তবে সরকারের পদক্ষেপে ও সাধারণ মানুষ পেঁয়াজ কেনা কমিয়ে দিলে দাম কিছুটা কমে যায়।
তবে বাগমারা উপজেলার বড়বিহানালীতে পেঁয়াজ চাষীরা রয়েছে আতঙ্কে।
গত কয়েক দিনে উপজেলার কয়েকজন চাষীর পেঁয়াজ ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ চুরি যাওয়ায় শঙ্কায় দিন পার করছেন বড়বিহানালীর পেঁয়াজ চাষীরা।
এরই মধ্যে কয়েক জায়গায় ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ চুরির ঘটনার পর চুরি ঠেকাতে পেঁয়াজের ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন কৃষকরা।
জানা গেছে, ভালো দামের আশায় জমিতে আগাম জাতের পেঁয়াজের বীজ রোপণ করেছিলেন উপজেলার অনেক কৃষক। এখন পেঁয়াজের আকার বড় হয়ে উঠেছে। আর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে পেঁয়াজ তোলার উপযোগী হয়ে উঠবে। তবে বর্তমানে পেঁয়াজের বাজার ভালো হওয়ায় এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ক্ষেতে হানা দিতে শুরু করেছে চোরের দল। তাই চুরি ঠেকাতে দিনে এবং রাত জেগে পেঁয়াজ ক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন কৃষকরা।
নিজের পেঁয়াজ ক্ষেত পাহারা দেওয়া খালিশপুর গ্রামের কৃষক ইয়াকুব বলেন, আমি এ বছর দেড় বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। গতকাল রাতে আমার পাশের ক্ষেত থেকে এক কৃষকের অনেক পেঁয়াজ চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা।
আমরা রাত জেগে ক্ষেত পাহারা দিচ্ছি। এখন পেঁয়াজের আকার বড় হলেও তোলার উপযোগী হয়নি। আর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে পেঁয়াজ তোলার উপযোগী হয়ে উঠবে। কিন্তু চোরের ভয়ে এখনই আমাদের পেঁয়াজ তুলে ফেলতে হচ্ছে।
কৃষক ইয়াকুবের মতো একই কথা জানিয়েছেন আরো অনেক পেঁয়াজচাষী।
উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন, এ অঞ্চলের জমি পেঁয়াজ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এখানে পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে।
এ বছর উপজেলায় ১৯৮০ হেক্টর জমিতে কন্দ পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছে। এখানকার কৃষকরা পেঁয়াজ চাষে লাভবান হবেন।